মঙ্গলবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

তাড়াইলে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে চলছে মাছ নিধন, প্রশাসন নিরব

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহেও কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে চলছে মাছ নিধন। উপজেলার নদী-নালা, খালবিলে অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বাদাই জাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীরা। এতে এখানকার দেশিয় অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে,২৬ জুলাই মঙ্গলবার দু্পুরে উপজেলার নরসুন্দা নদী, সুতী নদী, সোনাইবিল,মাখরান বিলসহ হাওরে নিষিদ্ধ ম্যাজিক জাল দিয়ে মাছ ধরছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগের তৎপরতা না থাকায় অসাধু মৎস্যজীবীরা সহজে ডিমওয়ালা দেশিয় প্রজাতির মা ও পোনা মাছ নিধন করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

উন্মুক্ত জলাশয়গুলোতে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ ডিম ছাড়ার জন্য নিরাপদ আশ্রয় স্থল খুঁজে। সেই সুযোগে কিছু স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীরা এলাকার বিভিন্ন নদী, খাল, বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ চায়না দোহারি, কারেন্ট, বেড় ও বাদাই জাল ফেলে ধ্বংস করছে দেশিয় মাছ। পুঁটি, ট্যাংড়া, শিং পাবদা, সরপুঁটি, ফাতাশি, বোয়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করছে মৎস্যজীবীরা।

স্থানীয় সব হাট-বাজার, মাছের আড়তে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, আগে এ অঞ্চলে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেতো। এখন এসব মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। নদীতে অবৈধ সুতি জালের বাঁধ স্থাপন ও নিষিদ্ধ চায়না দোহারি জাল দিয়ে মাছ শিকারের ফলে দেশি মাছ কমে যাচ্ছে। অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধ হলে এলাকায় দেশীয় মাছের অভাব দূর হতো। নদী নালাসহ বিল অঞ্চলে জাল দিয়ে মাছ ধরলেও যেন দেখার কেউ নাই।

সচেতন মহল মনে করেন, উপজেলা প্রশাসনের এখনি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।তা না হলে দেশিয় প্রজাতির মাছ ধ্বংস হয়ে যাবে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিত পন্ডিত বলেন, মা মাছ নিধন রোধে এবং সবাইকে সচেতন করতে উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। যারা নদী ও খাল-বিলে কারেন্ট জাল কিংবা চায়না দোহারি জাল ফেলে দেশিয় মাছ নিধন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ