সোমবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পঞ্চগড়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে গ্রাহকসহ শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। শনিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। রোববার (৩ জুলাই) দিনভর চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ দিয়ে চলেছে পঞ্চগড়। প্রচণ্ড দাবদাহ আর লোডশেডিংয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকে।পঞ্চগড় নর্থ বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) একটি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয়ভাবে আকস্মিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো পঞ্চগড়েও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

তারা বলছেন, নেসকো এবং পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি (আরইবি) এই দুই কোম্পানির মাধ্যমে জেলার পাঁচ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৬০-৬৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বর্তমানে অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে রোববার পঞ্চগড় বরাদ্দ পায় মাত্র ২৫ মেগাওয়াট। এজন্য ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

পঞ্চগড় নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন সরকার বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে তীব্র খরা শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহে আমাদের অবস্থা খারাপ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। রোববার সারাদিন ৮-১০ বার এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছি।’

লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরাও। পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মালিহা বলে, ‘সামনেই আমাদের পরীক্ষা। এ সময় বিদ্যুতের এমন অবস্থায় আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। প্রচণ্ড গরমের কারণে পড়ার টেবিলে বসে থাকা যায় না। ঘন ঘন বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে বিকল্প ব্যবস্থাতেও কোনো কাজ হয় না।’

এ বিষয়ে পঞ্চগড় নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমরা চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ বরাদ্দ অনেক কম পাচ্ছি। তাই বাধ্য হয়ে রোটেশন করে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। অথচ স্থানীয় গ্রাহকরা এ বিষয়ে আমাদের দোষারোপ করছেন। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে তৎপর রয়েছি। ইচ্ছে করে আমরা ভোগান্তি সৃষ্টি করি না।বিদ্যুতের চলমান সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ