মঙ্গলবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পর্তুগালকে হারিয়ে সুইজারল্যান্ডের প্রথম জয়

ম্যাচ শুরু হতেই গোল খেয়ে বসল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সহ নিয়মিতদের অনেককে বাইরে রেখে খেলতে নামা পর্তুগাল। ব্যবধান ঘোচাতে মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করল তারা। সুযোগও মিলল অনেক। কিন্তু সুইস গোলরক্ষক জোনাস ওমলিনের দেয়াল ভাঙতে পারলেন না কেউ। এবারের নেশন্স লিগে প্রথম জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ল সুইজারল্যান্ড। জেনেভায় রবিবার রাতে ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা।

ম্যাচে ঘড়ির কাটা ৫৫ সেকেন্ড পার হতেই পর্তুগালের জালে বল! ম্যাচের প্রথম আক্রমণেই ডান দিক থেকে ছয় গজ বক্সের মুখে দারুণ ক্রস বাড়ান সিলভান উইডমার। লাফিয়ে কোনাকুনি হেডে গোলটি করেন সেফেরোভিচ। ১৩ মিনিটে আরও বড় বিপদে পড়তে পারত পর্তুগিজরা। তাদের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার নুনো মেন্দেসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তার আগেই অবশ্য বের্নার্দো সিলভার থেকে বল কাড়ার প্রচেষ্টায় সুইজারল্যান্ডের নিকো এলভেদি ফাউল করেছিলেন, ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি।

একাদশে চারটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামা সুইজারল্যান্ড ২২তম মিনিটে আরেকটি বদল আনতে বাধ্য হয়। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার জেরদান শাচিরি।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে মেন্দেসের পাস ধরে আন্দ্রে সিলভার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। ৬২তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ পেয়েও হারান সেফেরোভিচ। তার বাঁ পায়ের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই বদলি নামেন পর্তুগালের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভা। মাঠে নেমেই দারুণ এক আক্রমণ শানান তিনি। বল পায়ে কিছুটা এগিয়ে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট নেন তিনি। তবে শটটা গোলরক্ষকের আয়ত্ত্বের বাইরে রাখতে পারেননি অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।

প্রবল চাপ ধরে রাখা পর্তুগাল ৭২তম মিনিটে পায় আরেকটি ভালো সুযোগ। এবার গনসালো গেদেসের কোনাকুনি শট কোনোমতে ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখানে গোলরক্ষক ওমলিন। পাঁচ মিনিট পর দিয়োগো জটার হেডও ঠেকিয়ে দেন তিনি।

প্রথম দেখায় সুইসদের ৪-০ গোলে হারানো পর্তুগাল বাকি সময়েও একইভাবে আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু হার এড়ানোর মতো কিছুই করতে পারেনি তারা। বলা ভালো, তাদের তা করতে দেননি ওমলিন।

এবিএন/এসএ/জসিম

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ