শনিবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পশুরু হাট তৈরি করতে শুরু করেছে ইজাদাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ইজাদাররা। আর মাত্র ১৭ দিন পরই ঈদুল আজহা হওয়া কথা রয়েছে। সেদিকে খেয়াল রেখেই তারা প্রস্ততি নিচ্ছেন। এবারের পশুরু হাট অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু কঠিন হবে বলে মনে করছেন ইজাদাররা। টানা বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে পশুর হাট নিয়ে বেশ চিন্তিত তারা। তবে শঙ্কার মধ্যেই তারা পশুর হাট কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

জানা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে এবার ১৭টি স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। ৬ জুলাই থেকে এসব পশুরু হাট বসবে। ঈদের দিনসহ মোট পাঁচদিন চলবে পশু বেচাকেনা। এরইমধ্যে রাজধানীতে হাট বসানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মূল মঞ্চ (খাজনার স্থান), প্যান্ডেল, তোরণসহ মাঠের মধ্যে চলছে বাশের খুঁটি বসানোর কাজ। পুরোদমে কাজের গতিই বলছে, এবার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই হাটের কাজ সম্পন্ন করতে চান ইজারাদাররা। রাজধানীর গাবতলী, শাহজাহানপুরসহ কয়েকটি হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৭টি হাটের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে ৭টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতায় বসবে ১০টি হাট। ঈদের আগে চারদিন এবং ঈদের দিন মিলে মোট পাঁচদিন বসবে অস্থায়ী এসব পশুর হাট। গাবতলীর পশুর হাটে বাঁশের কাজ করছিলেন সেলিম । তিনি বলেন, গাবতলীর পশুর হাটটি স্থায়ী। বছরের প্রতিদিনই এখানে পশু বেচাকেনা চলে। তবে কোরবানির ঈদ এলে বাড়তি পশু আসে। এজন্য লাইটিং, বাড়তি পশু রাখার স্থান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য বুথ স্থাপন করতে হয়। আমরা কয়েকদিন ধরেই কাজ করছি। ঈদের আগেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় বসবে অস্থায়ী হাট। সেখানে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মিনু মিয়া। তিনি জানান, প্রতি বছর হাটের কাজ যেই পাক, বাঁশের কাজগুলো আমরাই করে দেই। আমাদের আরেকটি গ্রুপ আছে, যারা সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করে। তিনি বলেন, আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সেভাবেই ইজারাদারের নির্দেশনা আছে। অনিক নামে আরেকজন বলেন, এবার সারাদেশে বন্যায় অনেক পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দ্রুত হাটের কাজ শেষ করতে চাই। অনেকে বন্যার কারণে আগেই বাজারে পশু নিয়ে আসবেন। এজন্য দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।

রাজধানীতে ডিএসসিসির অধীনে ১০টি পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে- আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা।

ডিএনসিসির অধীনে ৭টি হাটের মধ্যে রয়েছে- ভাটারা-সাইদনগর পশুর হাট, কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ এর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তরদিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই থেকে এইচ পর্যন্ত এলাকার খালি জায়গা এবং ৩০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল-যমুনা হাউজিং কোম্পানির খালি জায়গা। এসব অস্থায়ী হাট ছাড়াও গাবতলী ও ডেমরার সারুলিয়ার স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ