রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ নাম তার ” রাজবাড়ীর রাজা “। ওজন প্রায় ৩০ মন। দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।এটি সদর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবী মালিক ও এলাকাবাসীর।
মালিকের নাম সিরাজুল ইসলাম । গ্রাম আলহাদিপুর , আলিপুর ইউনিয়ন মোবাইল নাম্বার ০১৭৬৬৮২৯১৩৬।
কিনতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন।
৩০ মণ ওজনের ‘রাজবাড়ীর রাজা’কে দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে মানুষ।
উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট, লম্বায় ১০ ফুট, আর ওজন ৩০ মণ। বিশাল দেহের এই ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা’। রাজাকে একনজর দেখার জন্য প্রতিদিন শত মানুষ ভীড় করছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলহাদিপুর গ্রামের অটোচালক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে।
গত দুই বছর ধরে রাজাকে লালন-পালন করছেন সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম। এখন গরুটিকে কোরবানির হাটে তোলার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা।
সিরাজুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে পাচুরিয়া ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের সিদ্দিক ব্যাপারীর কাছ থেকে ৭৩হাকার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটিকে কিনে আনেন তিনি। আদর করে গরুটির নাম রাখেন রাজা। খাদ্য হিসেবে রাজবারীর রাজাকে খাওয়ানো হয় ভুট্টা, ছোলা, খেসারি, গমের ভূষি, খড় ও তাজা ঘাসসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ৩০ মণ ওজনের এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা।
সিরাজুল ইসলাম কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ীর রাজার দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। রাজবাড়ী সদর উপজেলার মধ্যে রাজাই আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি তার।
তিনি বলেন, রাজাকে খুব বেশি একটা ঘর থেকে বের করা হতো না। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে রাজাকে ঘর থেকে বের করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই নিজ এলাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে রাজাকে একনজর দেখার জন্য শত শত মানুষ ভীড় করছেন।
রাজাকে কিনতে আগ্রহী কেউ থাকলে ০১৭৬৬৮৯১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছেন সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, রাজাকে আমি নিজের সন্তানের মতো যত্ন করে লালন-পালন করেছি। ওকে দিনে দুইবার গোসল করাতে হয়। গোয়াল ঘরটিও দুই বেলা পরিস্কার করতে হয়। সারাদিনই যত্নের মধ্যে রাখতে হয় গরুটিকে। রাজাকে বিক্রির কথা বলার পর থেকে গরুটি খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। আমারও বুকটা ফেটে যায়, কষ্ট লাগে। কিন্তু কি করবো সাংসারিক দায়বদ্ধতার কারণে ওকে বিক্রি করতেই হবে।’
সিরাজুল ইসলামের প্রতিবেশী মো. মালেক মেলেটারী বলেন, ‘সিরাজুল ও তার স্ত্রী অনেক কষ্ট ও যত্ন করে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। আমরা এলাকাবাসী চাই তারা যেন আসছে কোরবানির ঈদে ন্যায্য দামে গরুটি বিক্রি করতে পারেন।’
আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক জানান এটি আমার ইউনিয়নের একটি গর্ব। আমার বাড়ির পাশেই বিশাল আকৃতির এই গরুটি আছে একজন হতদরিদ্র অটোচালকের বাড়িতে। গরুটির নাম রাখা হয়েছে রাজবাড়ীর রাজা। সত্যি গরুটি রাজবাড়ীর রাজা। কারন আমি এত বড় ৩০মন ওজনের এত বড় গরু রাজবাড়ীর কোথাও দেখি। আমও যতদূর জানি সিরাজুল ইসলাম এক বেলা অটো চালায় র এক বেলা গরুর যত্ন করে। গরুটির পিছনে ও প্রচুর শ্রম দিয়েছে, যার কারনে আল্লাহ ওকে সুন্দর একটি গরু দিয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘অটোচালক সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তার গরু রাজার চিকিৎসা ও খাদ্য তালিকাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। আসছে কোরবানির ঈদে গরুটিকে বিক্রির ব্যাপারেও তাকে আমরা সহায়তা করবো।’