সোমবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

রাবিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

অজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো ঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ১০টায় রাবি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বিমক) আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪ আই আর), চ্যালেঞ্জস ও দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমক এর সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর। রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিমক’র সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
পরে কর্মশালার দুটি কারিগরি সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের প্রফেসর কাজী মোহাইমেন-উস-সাকিব ‘৪ আই আর (এ আই, ন্যানো টেকনোলজি, বায়ো-সায়েন্সেস এবং রিলেটেড এরিয়াস) সময়কালের উপর জ্ঞানের প্রাধান্য রয়েছে’। এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি স্কুলের অধিকর্তা প্রফেসর আফরোজা পারভীন ‘৪ আই আর এবং এগিয়ে যাওয়ার পথের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তৃতা করেন।
এই কর্মশালায় স্বাগতিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ছাড়াও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ রাবির উপ-উপাচার্যদ্বয়, রেজিস্ট্রার, অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশিষ্ট শিক্ষক ও পেশাজীবীগণ অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য বলেন, আজ আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ ও কাজ করে যাচ্ছি যা আমরা নিজেরাই বুঝতে পারিনা। এমন অভূতপূর্ব পরিবর্তন আমরা ইতিপূর্বে প্রত্যক্ষ করিনি। আগামী বিশ বছরে যে উন্নীত ঘটবে তা সমাজের সকল ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করবে। আজকের বিশ্বে ন্যানো ও ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এমন সব উদ্ভাবন হচ্ছে যা এক অমিত বিষ্ময়।
উপাচার্য প্রসঙ্গক্রমে মরহুম জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধৃত করে বলেন, “আমার পরবর্তী প্রজন্ম আমাকে যে প্রশ্ন করে তার উত্তর আমার কাছে নেই”। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, যেভাবে প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব এগিয়ে চলেছে তার সাথে তালমিলিয়ে না চললে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এখন থেকেই এই বিপ্লবে অংশীদার হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও সফলভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথরেখা নির্ধারণ করতে হবে। সেই লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে অর্থ মঞ্জুরী বাড়ানোসহ যুগোপযোগী বিষয়ে নতুন নতুন বিভাগ খোলা ও উদ্ভাবনী গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও সরকারের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম অনুষঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরলসভাবে সম্পৃক্ত হতে আহ্বান জানান। উপাচার্য আরো বলেন, এই সম্পৃক্ততার মাধ্যমেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নসহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মাধ্য উন্নত বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে পারবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ