তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে তারা। বর্তমান বাজারের সঙ্গে মিল রেখে চা-শ্রমিকের মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশের ১৬৫টি চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। চা শ্রমিকদের এ কর্মসূচি আপাতত আগামী ৩ দিন (প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১টা) চলবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ভ্যালীর যৌথ সিদ্ধান্তে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জুড়ী ভ্যালীতে গত দুই দিনে ৩৪টি চা বাগান পঞ্চায়েতের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, জুড়ী ভ্যালীর সভাপতি কমল বেনার্জীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জুড়ী ভ্যালীর সহ-সভাপতি শ্রীমতি বাউরী, সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার পাল ও বিভিন্ন পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ-বিদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে নূন্যতম মানবাধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। চা শ্রমিকের হাজিরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি অনেক দিনের। মালিকপক্ষ ইতিমধ্যে ১৪ টাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৪ টাকা বৃদ্ধি হলে একজন শ্রমিকের মজুরি হবে ১৩৪ টাকা। এই ১৩৪ টাকা দিয়ে কিভাবে একজন শ্রমিকের জীবন চলবে? সারাদিন পরিশ্রম করে এক লিটার পেট্রলের দামও হবে না। বক্তারা বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বেঁধে দেয়া এক সপ্তাহের সময় সোমবার শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো দাবি মানা হয়নি। তাই আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মবিরতি চলবে।
